এস এম জীবন >>
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত আসামি গ্রেফতার ও বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন গ্রেফতারকৃত নং আসামী হাফসা আক্তার পুতুল।
উল্লেখ্য গত ২০/১১/২৩ তারিখ সময় আনুমানিক ৩:৫২ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কোর্টের পূর্ব পাশের গেটের সামনে অবস্থানকালে বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে বিজ্ঞ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার উত্তর-পশ্চিম পাশের দিকে গিয়ে দেখতে পান অজ্ঞাতনামা নাশকতা সৃষ্টিকারীরা বেআইনিভাবে আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত আইনজীবীদের ও বিজ্ঞ আদালতে আসা বিচার প্রার্থীদের প্রাণনাসের ও ক্ষতিসাধন লক্ষ্যে ডিএমপি কোতোয়ালি থানা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার রহস্য উদঘাটন সহ আসামি গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ায় মামলাটির অজু হওয়ার পর ঘটনাস্থলে আশেপাশের প্রায় শতাধিক সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করিয়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্বস্ত সোর্সের তথ্যের মাধ্যমে উক্ত ঘটনার আসামীদ্বয় সনাক্ত হলে শ্যামপুর থানাধীন গ্লাস ফ্যাক্টরির গলি থেকে মামলার ২নং আসামী হাফসা আক্তার পুতুলকে গ্রেপ্তার করেন কোতোয়ালি থানার একটি বিশেষ টীম।
সেই সাথে নাশকতায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করে জব্দ দেখানো হয়েছে।
তিনি জানান, সোমবার (২০ নভেম্বর) কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এই ঘটনায় হাফসা আক্তার পুতুল নামে একজন নারীকে তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডে নিলে সে জানায় যে গত ২০/১১/২৩ তারিখে অন্য মামলায় তার দেবর আ: রহমানকে কোর্টে আনবে বলে জানার পর সে ও তার স্বামী ১ নং আসামি আব্দুল হামিদ(৩৮)ও তাদের ছোট মেয়ে আমানিয়া (০৪)সহ মোটরসাইকেল সহ( যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্রো হ- ১৮-০৫০৮) যোগে তাহার বর্তমান বাসা হইতে রওয়ানা দিয়ে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেল রাখে। তখন আ: হামিদ সহ হাসপাতালে ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা কালে তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুলের কাঁধে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে একটি কৌঠা রাখতে দেয়। পরবর্তীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ২য় তলায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে ৪র্থ তলায় ওঠে।
একপর্যায়ে আব্দুল হামিদকে স্ত্রী কাধের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে কৌটাটি বের করে দিলে আব্দুল হামিদ নিচের দিকে আদালত প্রাঙ্গনে ছুড়ে মারে। ফলে সাথে সাথে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় তখন আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুল ও তার ছোট মেয়ে আমানিয়াসহ পায়ে হেঁটে বার ভবন হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে নিজ বাড়ীতে পালিয়ে যায়। গত ৩০ তারিখ গ্রেফতারকৃত আসামী হাফসা আক্তার পুতুকে পুলিশ রিমান্ড শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে এর নিজেকে জরাইয়া স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কা: বি: ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে ।
এতে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীসহ বিভিন্ন লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং আদালতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়াসহ আদালতের বিচার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এজলাসে বসেন বিচারক। এ সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে বিচারক শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এর প্রায় ২০ মিনিট পর একই আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।