এস এম জীবন :
মিরপুর জোনের এডিসি মাসুক মিয়ার বিচক্ষণতায় গ্রেফতার হলেন একজন ভূয়া সরকারী কর্মকর্তা। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৬ নভেম্বর, রফিকুল হক মিয়া নামের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয় দিয়ে একজনের বিষয়ে জোনের এডিসিকে সহায়তা করতে বলেন। তিনি নিজেকে ৩৫ বিসিএস ক্যাডার কর্মকতা পরিচয় দেন। উক্ত বিষয়টি পুলিশ কর্মকর্তা সন্দেহ হয়। তিনি তাকে তার অফিসে আসতে বলেন।
উক্ত আসামী নিজেকে সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী পরিচয় দিয়ে তার একটি ভিজিটিং কার্ড সহ আনু মিয়া (৪৭) পিতা-মৃত অলফত আলী, সাং- কাচারীকান্দি, থানা- রায়পুরা, জেলা- নয়সিংদী, এ/পি বাসানং-৩৬৮/৮ অলিমিয়ার টেক, বউ বাজার, পশ্চিম শেওড়াপাড়া (লিয়াকত সাবেবের ভাড়াটিয়া) থানা-মিরপুর, ঢাকা কে তার মেয়ে মোসাঃ রহিমা খাতুন রত্না (২২) সহ বিকাল অনুমান ১৭:০৫ ঘটিকার সময় স্যারের অফিসে যেকোন এক বিষয়ে আইনগত পরামর্শ গ্রহনের জন্য পাঠান এবং এডিসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
কথা বার্তার এক পর্যায়ে এডিসির নিকট উক্ত আসামীর পরিচয় সংক্রান্ত বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় উক্ত আসামীকে তাঁর অফিসে চায়ের দাওয়াত দেয় এবং উক্ত আসামী যাদের অফিসে পাঠিয়েছেন তারা সঠিকভাবে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করতে না পারায় উক্ত আসামীকে আসতে বলে। উক্ত আসামী ইং-১৬/১১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা ১৭:৩০ ঘটিকার সময় মিরপুর মডেল থানাধীন সেকশন-২, অতিঃ উপ- পুলিশ কমিশনার, মিরপুর জোন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা অফিস কার্যালয় আসলে তার পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামী নিজেকে সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী এবং ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার এর একজন কর্মকর্তা পরিচয় দেন। আসামীর পরিচয় দেয়া প্রতিষ্ঠান NIMC কর্তৃপক্ষের নিকট আসামীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য আসামীর ভিজিটিং কার্ড সহ নাম ঠিকানা এবং ছবি প্রেরন করেন। NIMC প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জানান যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানে বর্ণিত আসামীর নামে এবং পদে কোন ব্যক্তি কর্মরত নেই। বিষয়টি জানার পর নিশ্চিত হয় যে, উক্ত আসামী নিজেকে সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী (NTMC) পরিচয় দিয়ে কোন বে-আইনী সুবিধা পাওয়ার জন্য আনু মিয়া এবং তাহার মেয়েকে এডিসির অফিসে পাঠান। তিনি অফিসে এলে পুলিশ কর্মকর্তা তার পরিচয় জানার জন্য তার ভিজিটিং কার্ডটি দেখতে চায়।
ভিজিটিং কার্ডের পদবী ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুসন্ধান করে জানা যায় উক্ত রফিক মিয়া নামে কোন কর্মকর্তা সেখানে চাকরি করেন না। বিষয়টি ভুয়া। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া পরিচয় দানকারী রফিক মিয়া নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। মিরপুর জোনের এডিসি মাসুক মিয়ার তড়িৎ সিদ্ধান্তে মিরপুর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর উক্ত ভুয়া পরিচয় দানকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। তার নামে দণ্ডবিধি ৪১৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে।